রাজশাহী নগরীতে পুলিশের উপর হামলা চালানোর পর জামায়াত-শিবির সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
Published : 06 Mar 2013, 10:23 AM
বুধবার বিকালে পুলিশ, র্যাব ও এলাকাবাসীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের এ সংঘর্ষ চলাকালে এক সহকারী পুলিশ কমিশনার গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া সাংবাদিকসহ আরো অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনা কোচিং সেন্টার ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে।
আহত মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার সোহেল মাহমুদসহ দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রোকনুজ্জামান বলেন, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা হেতমখাঁ এলাকায় তিনদিক থেকে মিছিল নিয়ে এসে দায়িত্ব পালনরত পুলিশকে ঘিরে ফেলে। এরপর হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে র্যাব এবং স্থানীয় জনতা যোগ দেয়।
এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হেতমখাঁ, হোসনিগঞ্জ, সব্জিপাড়া, ঘোষপাড়া মোড় ও পাঠানপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব ও পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, জামায়াত-শিবির কর্মীরা ব্যাপক হাত বোমা ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং র্যাব ও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে।
এছাড়া রাজশাহী যাদুঘরের আশপাশের ভবন থেকে পুলিশ ও র্যাবের প্রতি গুলিও চালায় তারা, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে বলেও তিনি জানান।
এসি রোকনুজ্জামান আরো বলেন, সংঘর্ষের পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঘোষপাড়া মোড়ে রেটিনা কোচিং সেন্টারে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ভবনের নিচতলার পাঁচটি কক্ষের মালামাল পুড়ে যায়।
পরে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।