Published : 10 Jan 2013, 03:39 PM
মাস্টারদা সূর্যসেনের এই সহযোগীর ১০৪তম জন্মদিনে বৃহস্পতিবার নগরীর মোমিন রোডের বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। আর সন্ধ্যায় নগরীর মুসলিম হলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘শঙ্খ-দেয়াং পরিষদ’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিনোদ বিহারী চৌধুরীকে পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, “আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শতাব্দী প্রাচীন এই মানুষটি ইতিহাসের সাক্ষী, ইতিহাসের নির্মাতা ও ইতিহাসের সহযাত্রী। আমাদের সৌভাগ্য তিনি এখনো জীবিত।
“বিপ্লবী বিনোদ বিহারী কৈশোরে যে বিপ¬¬বী আদর্শ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই আদর্শ আজো ধরে রেখেছেন। তার রয়েছে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস।”
হিতৈষী সব বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিনোদ বিহারী চৌধুরী বলেন, “শুধু একটা কথাই বলব, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, প্রেম, প্রীতি, ¯েœহ সার্বজনীন। এইসব সুকুমার বৃত্তির চর্চা করতে হবে।”
এরপর মঞ্চস্থ করা হয় চট্টগ্রামের লোককাহিনী অবলম্বনে রচিত গীতিনাট্য ‘আমিনা সুন্দরী।’
গীতিনাট্যটির সংগ্রাহক প্রয়াত আশুতোষ চৌধুরী। এটি নাট্যরূপ দেন প্রয়াত সুচরিত চৌধুরী। নাট্যজন মিলন চৌধুরীর নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।
১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার উত্তরভূর্ষি গ্রামে জন্ম নেন বিনোদ বিহারী চৌধুরী।
আইনজীবী কামিনী কুমার চৌধুরী ও শ্রীমতি রমারাণী চৌধুরীর পঞ্চম সন্তান বিনোদ বিহারী ১৯২৯ সালে সারোয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ করেন।
এর দুবছর আগেই ১৯২৭ সালেই বিদ্যালয়ে বিপ্লবী শহীদ রামকৃঞ্চ বিশ্বাসের সংস্পর্শে এসে যুক্ত হন গোপন বিপ্লবী দল যুগান্তরের সাথে।