ঢাকা, মার্চ ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রচারপত্রসহ চার জনকে মোহাম্মদপুর এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে দুজনকে। তাদের কাছ থেকে ‘ঢাকা চলো’ সমাবেশের প্রচারপত্র পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।
নিউমার্কেট থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কাঁটাবন মসজিদের কাছ থেকে হিযবুত তাহরীরের প্রচারপত্রসহ তিন জনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- মো. নূরে আলম (২১), মো. আব্দুল মতিন (২২) ও মো. মহিবুল্লাহ (২৪)। জুমার নামাজের পর তারা মুসল্লিদের কাছে প্রচারপত্র বিলি করছিল।
এদের মধ্যে প্রথম দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তারা এসএম হলের আবাসিক ছাত্র। অন্যজন তেজগাঁও সিরামিক কলেজের শিক্ষার্থী।
ওসি বলেন, “তাদের কাছ থেকে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট ও একটি মাইক জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জুমার নামাযের পর লালমাটিয়া বিবির মসজিদ এলাকা থেকে আখলাকুর রশিদ (২১) নামে এক হিযবুত তাহরীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সরকারবিরোধী প্রচারপত্র বিলি করছিলেন।
রশিদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সাইফুর কোচিং সেন্টারে কোচিং করছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, নিষিদ্ধ জানার পরও তিনি এই সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আড়াই বছর আগে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করে সরকার।
ওসি জানান, জুমার নামাজের পর রিং রোড সংলগ্ন বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে মনিরুজ্জামান (৩২) এবং ওসিহুল আলম (৪০) নামে দুজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছে ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচির প্রচারপত্র পাওয়া যায়।
আগামী ১২ মার্চ ঢাকায় খালেদা জিয়ার ডাকা মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীও অংশ নিচ্ছে।
মনির ও ওসিহুলকে গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, তারা বাদশাহ ফয়সল ইনস্টিটিউটে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে তৎপর ছিল বলে তথ্য রয়েছে।
তবে গ্রেপ্তার দুজনই দাবি করেছেন, তারা জামায়াত কিংবা শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। মনির বলেছেন, তিনি নৈশ প্রহরী; ওসিহুলের দাবি, তিনি ওষুধ দোকানের কর্মচারী।
ওসিহুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা জুমার নামাজ শেষে দোকান খোলার সময় দোকানের সামনে কিছু লিফলেট দেখে তা সরিয়ে রেখেছিলেন। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কেটি/এলএইচ/ আরএম/এমআই/১৯২০ ঘ.