ঢাকা, জানুয়ারি ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক গোলাম আযমের ছেলে ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, সা¤প্রতিক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তাদের পরিবারের কারো কোনো সম্পর্ক নেই।
আযমী ও তার ছোট ভাইয়ের ওই অভ্যুত্থানচেষ্টায় সম্পৃক্ত থাকা প্রসঙ্গে রোববার কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন আযমী।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে ও আমার যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছোট ভাই নুমান আযমীকে নিয়ে সেনাবাহিনীর ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সম্পৃক্ততার একটি কাল্পনিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।”
একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার ও তার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এবং মিথ্যা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ ধরণের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করছে বলে মন্তব্য করেন আড়াই বছর আগে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া আযমী।
সেনাবাহিনী গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন ধর্মান্ধ কর্মকর্তা স¤প্রতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার প্রয়াস চালায়, যা সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।
রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আযমের ছেলে আযমী বলেন, “৩০ বৎসরের সামরিক জীবনে সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, পেশাগত দক্ষতা ও শৃঙ্খলার ব্যাপারে সকলের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ”
চাকরিরত অবস্থায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কখনো তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির নজির নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ সেনাবাহিনীর জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করা তো দূরের কথা, এ ধরণের কোনো চিন্তা আমার মাথায় কখনো আসার কথা কোনো সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ চিন্তা করার কথা নয়।”
২০০৯ সালের ২৩ জুন আযমীকে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে তিনি আদালতে গেলেও তার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত পাননি।
সেনাবাহিনীর ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই।”
সেনাবাহিনীর জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িতদের চরম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমি বা আমার পরিবারের কেউ অভ্যূত্থানের পরিকল্পনাকারী বলে সংবাদে উল্লেখিত হংকং প্রবাসী ইশরাক আহমেদকে চিনি না। আমাদের পরিবারের কারও সঙ্গে এ নামের কোনো ব্যক্তির কোনো দূরতম সম্পর্ক নেই।”
তার ছোট ভাই নুমান আযমী বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য ছাড়া তৃতীয় কোনো দেশে ‘জীবনে কখনও যায়নি’ বলে দাবি করে আব্দুল্লাহিল আযমী বলেন, “রোববার সকালেও তার সঙ্গে আমার একাধিকবার কথা হয়েছে এবং সে যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরআর/পিডি/২২৩২ ঘ.