ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বাংলাদেশকে নিজের প্রিয় ভূমি হিসেবে তুলে ধরে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, বাংলাদেশে আসতে পারায় তিনি ধন্য।
মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের এক সংবর্ধনার জবাবে তিনি এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জে ছিলো এই অর্থনীতিবিদের আদিপুরুষের বসতি।
জাতীয় জাদুঘর প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
সরকারি বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ দিলারা হাফিজ অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন।
মানপত্রে বলা হয়, আপনার চেতনায় হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নেই, আছে শুধু মানুষ, মানুষ, আর মানুষ। আপনি একজন মহান ব্যক্তি।
অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, "মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমানোর জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন অমর্ত্য সেন। তিনি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ, আমাদের গর্ব।"
১৯৩৩ সালে শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের জন্ম। ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পান।
কবীর চৌধুরী আরো বলেন, "সেন বয়সে আমার ছোট, তবে জ্ঞান-গরিমায় অনেক বড়। নতুন চিন্তার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির নতুন পথ দেখিয়েছেন তিনি।"
এরপরই বক্তব্য রাখেন অমর্ত্য সেন। গুটিকয়েক বাক্য খরচে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
অমর্ত্য সেন বলেন, "অনেক বয়স হওয়ার পরও কষ্ট করে তিনি (কবীর সাহেব) সভায় এসেছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ আমার প্রিয় জায়গা। এখানে আসতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করি। আপনাদের সবার প্রতি রইল অশেষ ভালোবাসা।"
সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, মানিকগঞ্জ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বজলুর রশীদ, সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক সুধীর চন্দ্র দাস।
গভর্নর বলেন, "দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র্য নিয়ে সেনের ভাবনা অর্থনীতির একটা ভিত্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। আপনি বাংলাদেশে এলে আমরা কাজ করার সাহস ও ভরসা পাই।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরআর/এএল/কেএমএস/১৬৩০ ঘ.