পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। ওই শিবির থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মো. আব্দুর রহিম ওরফে জাহিদ ওরফে সাইফুলসহ তিনজনকে। পরে গাজিপুর ও কুমিল্লা থেকে আরও দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। (আরও তথ্যসহ)
Published : 27 Sep 2009, 04:15 AM
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
ওই শিবির থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মো. আব্দুর রহিম ওরফে জাহিদ ওরফে সাইফুলসহ তিনজনকে। পরে গাজিপুর ও কুমিল্লা থেকে আরও দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রথমে রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাটিরাঙা থেকে দেলোয়ার হোসেন সজিব ও ইউনুস আলীকে এবং গাজিপুর থেকে দেলোয়ার হোসেন দুলাল এবং কুমিল্লা থেকে মনির ওরফে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সেখানে হাজির করা হয় গ্রেপ্তারকৃতদেরও।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মিজানুর রহমান বলেন, "প্রায় এক বছর চেষ্টা চালিয়ে লোকালয়ের বাইরে দুর্গম এলাকায় জেএমবির আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলো।"
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লায় গ্রেপ্তার জেএমবির আত্মঘাতী দলের সদস্য নাইমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুসন্ধান চালিয়ে ওই আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।
কর্নেল মিজানুর বলেন, "আস্তানার ধরন ও অবকাঠামো দেখে মনে হলো, এটি জেএমবির প্রশিক্ষণ শিবির। প্রায় ৭/৮ মাস আগে এই জায়গাটিতে একটি টিনের এবং একটি মাটির ঘরের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। গহীন অরণ্যে এ দুটি ছাড়া আশেপাশে আর কোনও স্থাপনা নেই।"
সেখান থেকে গ্রেনেডের ১৪টি খোলস, ২০টি ডেটোনেটর, ৪৯টি জিহাদি বই, ২৭টি ব্যাটারি, এক প্যাকেট গান পাউডারসহ বিভিন্ন সামগ্রী আটক করা হয় বলে র্যাব জানায়।
র্যাব কর্মকর্তা মিজানুর বলেন, "গত বছর নাইমকে গ্রেপ্তারের সময় র্যাবকে লক্ষ করে বোমা মেরে যারা পালিয়ে গিয়েছিল রহিম তার মধ্যে অন্যতম। সে জেএমবির এহসার এবং সামরিক শাখার সদস্য।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মাটিরাঙায় প্রশিক্ষণরত অবস্থায় কাউকে পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার একটি মুরগি খামারের মালিক।