ঈদযাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামার সুবিধায় বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে ১০ দিন বলবে বলে বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকদিন আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে লঞ্চ মালিক, শ্রমিক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বসে এ সিদ্ধান্ত হয়।”
গত রোজার ঈদে ঘরে ফেরার যাত্রায় মোটর সাইকেল হয়ে উঠেছিল গুরুত্বপূর্ণ বাহন। তবে তাতে দুর্ঘটনা বাড়ে বলেও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।
সম্প্রতি পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেলের ওঠা নিষিদ্ধের পর গত রোববার সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ঈদের সময় সাত দিন মহাসড়কে মোটরবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।
এরপর লঞ্চেও মোটর সাইকেল তোলা নিষিদ্ধ করল বিআইডব্লিউটিএ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরে পাঁচ দিন লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন করা যাবে না।
তবে ফেরিতে মোটর সাইকেল তোলায় কোনো বাধা নেই।
বুয়েটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঈদের সময় প্রতিদিন সদরঘাট দিয়ে সোয়া লাখ মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করে।
তবে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক যাত্রী নৌপথ ছেড়ে সড়কপথে এবারের ঈদে বাড়ি যাবেন।
অন্যান্য বছর বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হলেও এবছর এই সার্ভিস নেই বলে জানান মোবারক হোসেন মজুমদার।
তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুর কারণে কিছু যাত্রী কমেছে। তাই যাত্রীও তুলনামূলক কম হচ্ছে।”
লঞ্চে ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়ার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।