বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।
Published : 22 Jun 2022, 01:18 AM
বৈঠকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশের দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং উত্তরাঞ্চলে বহুমুখী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, নদীমাতৃক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নদী ভাঙন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
সেই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০সহ তার দৃষ্টিভঙ্গি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১৩ বছরে তার সরকারের আমলে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
ইইউ দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে তিনি ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) ইনিশিয়েটিভ আকারে ইইউ’র অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকারের প্রশংসা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সবুজ গার্মেন্টস শিল্পের প্রশংসা করেন এবং এলডিসি থেকে বাংলাদেশের সাবলীল উত্তরণ কামনা করেন।
তিনি আশ্বাস দেন, ইইউর নতুন জিএসপি রেগুলেশন ইতোমধ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য বাংলাদেশের বিষয়টি বিবেচনা করেছে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পর ক্যাম্প এলাকা আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে এবং স্থানীয় জনগণের দ্বারা এই অঞ্চলকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে তার সরকারের।
পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, উদ্বোধনের পর এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।