‘সেচ না পেয়ে আত্মহত্যা’, তদন্তে কৃষি মন্ত্রণালয়

রাজশাহীতে ধানের জমিতে ‘সেচের পানি না পেয়ে’ দুই কৃষকের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) মো: আবু জুবাইর হোসেন বাবলুকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি, বিএডিসি নাটোর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও বিএডিসি নওগাঁ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সমশের আলী সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

কৃষি সচিব মো. ছায়েদুল ইসলাম মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

“আমি কৃষকদের সাথে কথা বলেছি, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহীর সাথেও কথা বলেছি। সাথে সাথে আমাদের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে বিএসডিএর দুজন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তাসহ মোট ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি।

“কমিটি এ মুহূর্তে মাঠে চলে গেছেন। তারা তদন্ত করছেন, পাশাপাশি পুলিশও তদন্ত করছে।”

গত ২৩ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘটু গ্রামের কৃষক অভিনাথ মার্ডি ও তার চাচাতো ভাই রবি মার্ডি ‘বিষপান’ করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে অভিনাথ মার্ডি বাড়িতেই মারা যান।

‘সেচ না পেয়ে’ বিষপানে সাঁওতালের মৃত্যু, নলকূপ অপারেটরের গ্রেপ্তার দাবি  

‘সেচ না পেয়ে’ বিষপানে ২ সাঁওতালের মৃত্যু, আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা  

এ ঘটনায় অভিনাথ মার্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমরম আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। সেখানে বলা হয়, ধান ক্ষেতে সেচের পানি না পেয়ে বিষপান করেছেন দুইজন।

অভিনাথের মৃত্যুর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রবি মার্ডির মৃত্যু হয়।

কৃষিসচিব ছায়েদুল বলেন, “আমাদের যে প্রশাসনিক তদন্ত, আমরা আমাদের মত করে করব। আর ফৌজদারি যে বিষয়টি পুলিশ দেখছে, সেটা তাদের আঙ্গিকে করবে।

“আমরা এ বিষয়ে সচেতন আছি। কারও কোনো গাফলতি থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”