যুদ্ধের গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক ইউক্রেইন সীমান্ত পার হয়ে মালদোভায় প্রবেশ করেছেন। এরপর তারা রোমানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
Published : 06 Mar 2022, 01:42 AM
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টায় পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জাহাজের নাবিকরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়েছেন। তারা রোমানিয়ার পথে আছেন।
ইউক্রেইনের ওলিভিয়া বন্দরের চ্যানেলে আটকা পড়া জাহাজ ছাড়ার তিন দিনের মাথায় নাবিকরা সীমান্ত পেরোলেন।
ইউক্রেইনের ওলভিয়া বন্দর থেকে মালদোভা সীমান্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার। মালদোভার পার্শ্ববর্তী দেশ রোমানিয়া। সেখান থেকে নাবিকদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এরআগে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ২৮ নাবিক ইউক্রেইনের সেল্টার হাউজ ছেড়ে সীমান্তের পথে রওনা হন।
এদিন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্সস অ্যাসোসিয়েশস (বিএমএমওএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলার সমৃদ্ধির নাবিকরা পার্শ্ববর্তী দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও পথে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও যানজটের দীর্ঘ সারির কারণে বিলম্ব হচ্ছে।
এরআগে গত বুধবার গোলার আঘাতে এক সহকর্মীকে হারানোর পরদিন রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির এসব নাবিক জাহাজ থেকে নেমে আসেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
জাহাজ থেকে নেমে নাবিকরা বন্দরের কাছাকাছি একটি সেল্টার হাউজের বাংকারে ছিলেন বলে তারা পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন।
গত বুধবার রাতে গোলার আঘাতে জাহাজের ব্রিজে থাকা থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাহাজের বিভিন্ন অংশ।
শুরুতে জাহাজের ২৮ নাবিককে পোল্যান্ড নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। পরে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় নাবিকদের গতিপথ পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়।
বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইন পৌঁছায়। সেখান থেকে পণ্য নিয়ে জাহাজটির ইতালি যাবার কথা ছিল।
এর আগেই রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যে দিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হলে পণ্য নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে চ্যানেল ক্লিয়ার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল জাহাজটি।