রাজধানীর গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টায় চালু হওয়া ঢাকা নগর পরিবহনের বাস আরও তিনটি রুটে নামতে যাচ্ছে।
Published : 07 Feb 2022, 06:00 PM
সোমবার নগর ভবনে বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির একবিংশতিতম সভা শেষে একথা জানান কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টায় গত ২৬ ডিসেম্বর বাস রুট ফ্যাঞ্চাইজির আওতায় ঢাকা নগর পরিবহনের বাস চলাচল শুরু হয়।
এখন কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর, শংকর, শাহবাগ হয়ে কাচপুর সেতু পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে এই একক কোম্পানির বাস চলছে। যেখানে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে বাসে উঠছেন যাত্রীরা।
এখন ঘাটারচর থেকে আসাদগেট দিয়ে ফার্মগেট, পল্টন হয়ে ভুলতা পর্যন্ত নগর পরিবহনের বাস নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া ঘাটারচর থেকে আসাদগেট দিয়ে সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, পল্টন কমলাপুর সায়দাবাদ হয়ে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত আরেকটি রুটেও বাস চলবে।
নতুন তৃতীয় রুটে ঘাটারচর থেকে আসাদগেট দিয়ে সায়েন্সল্যাব, কাকরাইল, মতিঝিল, দয়াগঞ্জ, পোস্তগোলা হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যাবে নগর পরিবহনের বাস।
মেয়র তাপস বলেন, “প্রথম যাত্রাপথ আমাদের ২১ নম্বর যাত্রাপথ। এটা সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত। সেই সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথ আমরা চিহ্নিত করেছি। এই তিন যাত্রাপথে আমরা কার্যক্রম পরিচালিত করব।”
২২ নম্বর যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে ভুলতা পর্যন্ত চলবে নগর পরিবহনের বাস। ২৩ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত। ২৬ নম্বর যাত্রাপথ হচ্ছে ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।
নতুন তিনটি রুট কবে নাগাদ চালু হচ্ছে- সাংবাদিকদের জানতে চাইলে তাপস বলেন, “এসব রুটে আরও ভালো সেবা দিতে কী ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে, কী কী অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে, এজন্য পরামর্শকরা কাজ শুরু করেছেন।
“আগামী সভায় তারা এ নিয়ে কমিটির কাছে সুপারিশ জমা দেবেন। পরে ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই কাজটি করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।"
চালু হওয়ার রুটে অন্য বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, “অনুমোদনহীন বাস জব্দ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবেন।”
তাপস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির সব সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।
বাস রুট র্যাশনাইলেজেশনে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দুই মেয়রই উষ্মা প্রকাশ করেন।