রাজধানীতে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণের আগে রাজউকের পাশাপাশি দুই সিটি করপোরেশনেরও অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
Published : 06 Feb 2022, 05:35 PM
রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বর্ষা মৌসুমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে গ্রহণ করা কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তবে অনুমোদন নিতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে মেয়রদেরও সতর্ক থাকার কথা বলেন মন্ত্রী।
নতুন করে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নেওয়ার বিষয়ে তিনি ব্যক্তিগত বাসাবাড়ি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা ছাড়াও সরকারি অবকাঠামোসহ সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ অনুমোদনের আওতায় আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ছাড়াও সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে।
“আর শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না, অনুমোদিত স্থাপনা নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।”
বর্তমানে রাজধানীতে কোনো ভবন নির্মাণের আগে রাজউকের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ঢাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসা থেকে খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করায় খাল সংস্কার, দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ কারণে আসন্ন বর্ষায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না।
“আমি আশা করি এ বছর রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।”
সভায় ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্গ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।