গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় বুধবার দুপুরে নিহত হন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাঈম হাসান। ঘটনার পরপর গাড়িচালক রাসেল খানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
নাঈমে মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে নেমে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, ‘প্রকৃত চালককে’ গ্রেপ্তার করা হয়নি। সোশাল মিডিয়াতেও এমন প্রচার দেখা গেছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
বিষয়টি স্পষ্ট করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ পল্টন থানায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যে, চালককে ধরা হয়নি। এভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো উচিত নয়। যে গাড়ি চালাচ্ছিল তাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“ওই গাড়ির প্রকৃত চালক ছিল হারুন, কিন্তু হারুন ময়লার ট্রাকটি রাসেলকে চালাতে দেয়। রাসেলেরই চালানো ময়লার ট্রাকের চাপায় নাঈম হাসান নিহত হন। রাসেল সিটি কর্পোরেশনের কেউ না।”
হারুনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “হারুনও এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সে কেন লাইসেন্সবিহীন রাসেলকে ট্রাকটি চালাতে দিল।”
পল্টন থানার ওসি মো. সালাহ উদ্দিন জানান, সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে রাসেলকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে বুধবার তিনি জানিয়েছেন, হারুন তার পরিচিত রাসেলকে দিয়ে ‘বদলি ডিউটি’ করাচ্ছিলেন। রাসেলের ডিএসসিসির কোনো নিয়োগপত্র নেই।
নটর ডেম কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন নাঈম হাসান। কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটিতে নিজ বাড়িতে তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে নাঈম ছিলেন ছোট।
নাঈমের মৃত্যুর খবর কলেজে পৌঁছালে শতাধিক শিক্ষার্থী বুধবার দুপুরেও গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন