দুই মামলায় ফাঁসির আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় হবে মঙ্গলবার।
Published : 11 Oct 2021, 06:27 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের এই মামলায় ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম রায় দেবেন। গত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আদালতে ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন কারাবান্দি বাবর।
২০০৮ সালে করা এই মামলায় এক যুগ পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছিল।
বাবরের পক্ষে আইনজীবী হিসাবে মামলা পরিচালনা করেন মো. আমিনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন বাবর।
এরপর জরুরি অবস্থার মধ্যেই ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।
এই মামলায় বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকার সম্পদ গোপনের কথা বলা হয়।
মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ওই বছরের ১২ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু হলেও তা শেষ হতে এক যুগ লেগে গেল।
এর মধ্যে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য বাবরের মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে আদালত থেকে।
নেত্রকোনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাবর ১৯৯১ সাল থেকে ৩ বার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৮ সালে অল্প কিছু দিনের জন্য জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। পরে আবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর এক দশক ধরেই তিনি কারাগারে রয়েছেন।