মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালসহ ১৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগনির্ণয়ের ২৮টি যন্ত্র ‘বাক্সবন্দি’ করে ফেলে রাখার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 12 Sep 2021, 06:26 PM
আদেশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি থাকায় বিবাদীদের অবহেলা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সেটি জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ফরিদপুর, লক্ষীপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, পটুয়াখালী ও রাজবাড়ীর সিভিল সার্জনসহ ২১ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট প্রথম আলোতে ‘১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২৬ আগস্ট রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
রিটে এসব যন্ত্র ব্যবস্থাপনায় বিবাদীদের অবহেলা চ্যালেঞ্জ করে তাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মনোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনগণের হাজার কোটি টাকায় গুরুত্বপূর্ণ এসব যন্ত্রপাতি কিনে এভাবে ফেলে রাখা অব্যবস্থাপনারই বহিপ্রকাশ। এভাবে ফেলে রাখায় আখেড়ে ক্ষতিটা হচ্ছে জনগণেরই। সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।”
বাক্সবন্দি যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৩টি এক্স-রে, ছয়টি ভেন্টিলেটর, চারটি আলট্রাসনোগ্রাম, একটি ইসিজি, একটি ল্যাপারোস্কপি, একটি কালচার ইনকিউবেটর, একটি হট এয়ার ওভেন ও একটি অটোক্লেভ মেশিন।
গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত যন্ত্রগুলো এই অবস্থায় ছিল এবং পড়ে থেকে কোনো কোনো যন্ত্র নষ্টও হয়ে গেছে এবং কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।