‘ভর্তি বাণিজ্যের’ মাধ্যমে ১১০ কোটি টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
Published : 06 Sep 2021, 04:21 PM
সোমবার বেলা ১১ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, তার কোনো ‘অবৈধ সম্পদ নেই’। তার যেসব সম্পদ আছে তা তিনি ডেভলপার কোম্পানি থেকে ব্যবসার মাধ্যমে ‘বৈধভাবে’ অর্জন করেছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার বাবা কৃষক, আমি কৃষকের ছেল। আমার কোনো অবৈধ সম্পত্তি নেই। যা আছে ডেভলপার ব্যবসা থেকে অর্জিত। বনশ্রী ও আফতাবনগরে যে বাড়ি, সেটা আমার নয়, ডেভপলপার কোম্পানির নামে।”
এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুর বলেন, “স্কুলে ভর্তি বাণিজ্যের যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে... এটা আমার কাজ না, অন্য কেউ করে থাকতে পারে। আমি চুক্তিভিত্তিক চাকরি করি। আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তা নই।”
এর আগে গত ৮ অগাস্ট দুদকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কর্মকর্তার আতিকুর রহমান খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, আতিকুরের নামে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডে ২৬টি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডে ২৯টি, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডে ১০টি, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডে ১০টি ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেডে তিনটিসহ ১৫টি ব্যাংকে মোট ৯৭টি একাউন্টে ছয় বছরে মোট ১১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া তার নামে বনশ্রীর মসজিদ মার্কেটের পাশে ‘বিশ্বাস লাইব্রেরী’ নামে একটি বইয়ের দোকান, আফতাবনগর ‘বি’ ব্লকের ৩৪ নম্বর প্লটে ‘বিশ্বাস বাজার’ নামে সুপারশপ, ‘ভিশন-৭১’ নামে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং আফতাবনগর ও বনশ্রীতে পাঁচটি বাড়ি রয়েছে বলে দুদকের হাতে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে।