মোসারাত জাহান মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও পরীমনিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির, বিশেষ করে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রচারিত-প্রকাশিত ‘অবমাননাকর ও ব্যক্তিগত’ ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন হয়েছে।
Published : 25 Aug 2021, 03:10 PM
মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে এ ধরনের ভিডিও, ছবি বা প্রতিবেদনের প্রচার-প্রকাশ বন্ধেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা একম কিছু ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন যুক্ত করে বুধবার এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত-প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদন, ভিডিও এবং ছবি অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে তার আবেদনে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিবকে তাতে বিবাদী করা হয়েছে ।
বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়ল হাই কোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তিনি বলেন, “দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ইনডিভিজুয়ালকে, বিশেষ করে নারীর চরিত্রকে টার্গেট করে অনেক প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ হচ্ছে।
“আমরা যদি পরীমনির ঘটনাই দেখি, তিনি একজন মাদক মামলার আসামি। কিন্তু বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ভিডিও প্রচার করছে। মুনীয়ার মৃত্যুর পর তার বোন যখন অভিযোগ আনলেন, তখন তার বেডরুমের ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। এসবের পেছনে উদ্দেশ্য কী?
“সাবরিনা আরিফ চৌধুরী যখন কোভিড-১৯ এর জাল সার্টিফিকেটের মামলায় অভিযুক্ত হলেন, তখন আমরা দেখলাম যে তার অনেক ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার যেমন খর্ব করছে, তেমনি বিদ্যমান আইন সংবিধানকেও লঙ্ঘন করছে। অথচ এ বিষয়গুলো নিয়ে রাষ্ট্র বা সরকারের সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। যে কারণে রুল ও নির্দেশনা চেয়ে এই রিট আবেদন।”
অবেদনে বলা হয়েছে, “মূল ধারার গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তি, বিশেষ করে নারীর সম্পর্ক ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে চরিত্র ও মানহানীকর প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি প্রচার-প্রকাশ করা হচ্ছে। বিষয়টি নারীর ক্ষমতায়নকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তেমনি নারীর ক্ষমতায়নকে পেছনে টেনে ধরছে।”
এসব প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি ডিজিটাল নিরাত্তাকে ‘হুমকির মুখে ফেলছে’ এবং একই সঙ্গে তা সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৯ ও ৪৪ অনুচ্ছেদকে ‘লঙ্ঘন করছে’ বলেও দাবি করেছেন আবেদনকারী।
তিনি বলছেন, “এসব প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি হলুদ সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করছে, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”