তালেবানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেসব বাংলাদেশি আফগানিস্তান গিয়েছেন। তারা দেশে ঢুকলেই গ্রেপ্তার করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
Published : 16 Aug 2021, 09:13 PM
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের এক জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “বাংলাদেশ থেকে কতজন আফগানিস্তানে গেছে কিংবা সেখানে কতজন অবস্থান করছে এসব তথ্য আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের থেকেই পাওয়া যায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমাদের বলা হয়নি, এতজন বাংলাদেশি তাদের দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিংবা আটক হয়ে কারাগারে।
“এসব নিয়ে দেশে যারা কাজ করে তারা সতর্ক রয়েছে। আফগানিস্তানফেরতরা যদি বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
শফিকুল বলেন, তালেবানরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেওয়ার পরই ঘোষণা করবে, তারা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র। তারা আরও বলবে, ‘আমেরিকাকে যুদ্ধে পরাজিত করে আফগানিস্তানকে স্বাধীন করেছি’। এর প্রেক্ষাপটে যুবকদের ভেতর (যারা জিহাদ করতে চায়) উৎসাহ তৈরি হবে।
“এই ঢেউ আমাদের উপমহাদেশসহ সব দেশেই লাগবে।”
দেশের সব স্তর থেকে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত সতর্কতার’ সঙ্গে পর্যালোচনা করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সেই অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি রাখা দরকার, আমাদের প্রস্তুতি আছে। তবে যে ঢেউটা শুরু হবে তা মোকাবিলার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
শুধু পুলিশের পক্ষে এককভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয়, প্রত্যেক অভিভাবক ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বমহলের সহযোগিতার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি আফগানিস্তানকেন্দ্রীক মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আফগানিস্তানফেরত বাংলাদেশিরাই পরে হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ও জেএমবিসহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করেছিল। এসব জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল তারা কাশ্মীরে গিয়ে যুদ্ধ করবে।
“তারা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে জয় লাভ করেছে, তারা কাশ্মীরে গিয়ে যুদ্ধ করেও জয়লাভ করবে বলে এমন ধারণা ছিল। এরপর নানাবিধ কারণে তারা কাশ্মীরে সফল হতে পারেনি।পরে বাংলাদেশেই তারা খিলাফত কায়েমের জন্য আন্দোলন শুরু করে।”
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনার পরে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মোটামুটি প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে পুলিশ।