নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাসখানেক আগে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে আরও ২১ জনের মরদেহ শনিবার বুঝিয়ে দেওয়া হবে পরিবারের কাছে।
Published : 07 Aug 2021, 11:41 AM
দুপুরে লাশগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার।
“গত বুধবার শনাক্ত হওয়া ২৪টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে আর শনিবার ২১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
“ডিএনএ পরীক্ষায় ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি লাশের ডিএনএ পরীক্ষার কাজ চলছে।”
গত ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজনের লাশ তখনই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাকি লাশগুলো এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে চোখে দেখে সেগুলো শনাক্ত করার উপায় ছিল না। ফলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ৪৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ৬৮ জন স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
শনাক্ত যে ২১ জনের মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করার কথা রয়েছে, তারা হলেন- মিনা খাতুন (১৪), রহিমা (৩৯), মাহমুদা আক্তার (২২), রাবেয়া আক্তার, নাজমুল হোসেন, সেলিনা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ফাকিয়া আক্তার, রহিমা আক্তার, আমেনা আক্তার (২২), হাসনাইন (১২), শামীম (১৭), আকাশ মিয়া, সান্তা মনি আক্তার (১৪), অমৃতা বেগম (৩৬), শেফালী রানী সরকার (১৭), কল্পনা রানী বর্মন, মাহবুবুর রহমান (২৮), জিহাদ রানা, স্বপন মিয়া ও মো. নোমান (১৮)।
এছাড়া দিনাজপুরের ফয়জুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের লাল্টু মিয়ার মেয়ে লাবণ্য আক্তার, ভোলার চরফ্যাশনের রাকিব দেওয়ানকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ভোলার মহিউদ্দিন নামেও একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের ভাষ্য।
হাসেম ফুডসে আগুন লাগার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর ওই কারখানা থেকে মোট ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। সেসব দেহাবশেষ তারা ৪৮টি বডি ব্যাগে ভরে পাঠিয়েছিল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।
কিন্তু সেখানে পুলিশ ৪৮টি ব্যাগে ৪৮ জনের মরদেহ ধরে নিয়ে সেভাবেই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে।
এখনও যেহেতু চারজনের লাশের দাবি করছেন স্বজনরা, সেহেতু পোড়া লাশ ৪৯টিই ছিল কিনা জানতে চাইলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “সিআইডি ৪৮টি ব্যাগে ৪৮ মৃতদেহের পরীক্ষা করছে। ৪৫ জন শনাক্ত হয়েছে আর বাকি তিনটি রয়েছে। তবে দাবিদার কতজন তা আমরা বলছি না।
“আমরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে কাজ করছি। ডিএনএ পরীক্ষা করব এবং নমুনার সঙ্গে যাদের মৃতদেহ মিলবে, সেসব স্বজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।”