দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
Published : 31 Mar 2021, 11:55 AM
অবকাশের পর বুধবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমের শুরুতে তার এই আহ্বান আসে।
সকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি বেঞ্চ বসেছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
আর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সঙ্গে আছেন বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী।
বিচারিক কার্যক্রমের শুরুতেই মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই আবার করোনার বিস্তার ঘটছে। করোনার যে ধরনটা দেখা যাচ্ছে, সেটা তো ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটছে।”
আদালত অঙ্গন সংক্রমণের ক্ষেত্রে ‘অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ মন্তব্য করে আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন প্রধান বিচারপতি।
মহামারীর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তে বিচারক ও আইনজীবীরা এদিন কালো কোট ও গাউন ছাড়াই আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
মঙ্গলবার রাতে এক বর্তায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের সাথে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মহোদয়গণের আলোচনাক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয় যে, পরিবর্তিত পরিস্থিতে মাননীয় বিচারকবৃন্দ এবং বিজ্ঞ আইনজীবীবৃন্দ ক্ষেত্রমত সাদা শার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এ ক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার প্রয়োজনীয়তা নেই। এই নির্দেশনা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশের সকল অধস্তন আদালতে অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
মহামারীর একটি বছর পেরিয়ে চলতি বছরের শুরুটা কিছুটা স্বস্তিতে গেলেও এখন আবার দৈনিক শনাক্ত রাগীর সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
গত এক সপ্তাহে দেশে মোট ২৮ হাজার ৬৯৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা মহামারী শুরুর পর থেকে সাত দিনে শনাক্ত রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সোমবার প্রথমবারের মত এক দিনে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর আসে; আর এর মধ্য দিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যায়।
এরপর মঙ্গলবারও আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।