মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত নেতাদের গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার পাশাপাশি শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
Published : 01 Feb 2021, 01:05 PM
সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াও অব্যাহত থাকবে বলে বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে।
সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রের চেতনায় বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক পক্রিয়াকে সমর্থন দেয়। আমরা আশা করব, মিয়ানমারেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা হবে।”
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পর সোমবার ভোরে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “নিকটতম ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসাবে আমরা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই।”
“দুই দেশই যাতে উপকৃত হয়, সেভাবেই আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই। বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে আসছি। আমরা চাই সেই প্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে।”
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।