অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 14 Jan 2021, 05:19 PM
বৃহস্পতিবার কমিশনের এক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘শিগগিরই’ এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।
মামলার তদন্তে আনিসুর রহমানের নামে ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের ‘প্রমাণ পাওয়া গেছে’ বলে জানান তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজী আনিসুর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে সম্পদ গোপন ও আড়াল করতে স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে র্যাবের অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অনিয়মে যুবলীগের সামনের সারির কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হন। সে সময় কাজী আনিসের কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এলে গা ঢাকা দেন এই যুবলীগ নেতা। পরে ১১ অক্টোবর তাকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।
এর সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় একই বছরের ২৯ অক্টোবর কাজী আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক। আনিসের বিরুদ্ধে মামলায় ‘ক্যাসিনো কারবারের মাধ্যমে’ ঘোষিত আয়ের বাইরে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলার তদন্ত করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ সালে কাজ শুরু করেন গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের ছেলে আনিস।
সংগঠনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে ২০১২ সালে উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদ পেয়ে যান আনিস। দপ্তর সম্পাদকের পদটি খালি থাকায় ছয় মাসের মধ্যে তাকে ওই পদ দেওয়া হয়।
এরপর ঢাকায় একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক হয়ে যান কাজী আনিস।