স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, নগর ব্যবস্থাপনার নিয়ম মেনেই এর বাসিন্দাদের উন্নয়ন করতে হবে।
Published : 04 Dec 2020, 01:31 AM
বৃহস্পতিবার ‘দরিদ্রবান্ধব জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল নগর উন্নয়ন : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। তাদের জীবিকার জন্য অবকাঠামোর পাশাপাশি পানি, বিদ্যৎ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। তবে উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যেন সবার চাহিদা পূরণ হয় এবং রাস্তা সংকুচিত না হয়।
“ঢাকায় যারা বসবাস করছেন তাদের সবার আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কম জায়গার মধ্যে আমি হয়ত বহুতল ভবন করলাম, কিন্তু তাদের আরও বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “এসব বিষয় নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, বহুতল ভবন তৈরি না করলে সবাইকে জায়গা দেওয়া যাবে না। আবার বহুতল ভবন তৈরি করে জনঘনত্ব বাড়িয়ে ফেললে আবার সমস্যা তৈরি হবে। একারণে আমরা শহরের সুবিধা গ্রামেই তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
দরিদ্রবান্ধব, জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল নগর উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন, বিতরণযোগ্য কার্যক্রম এবং সামাজিক জবাবদিহিতা বাড়ানোর তাগিদ দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ-এর অধ্যাপক এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত।
তিনি বলেন, “খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা বিশ্বের এখন একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা। খাদ্য নিরাপত্তা না থাকলে, মানুষজন স্থানান্তরিত হবে, জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা থাকবে না, জীববিচিত্র ধ্বংস হবে এবং স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে আমাদেরকেও খাপ খাওয়াতে হবে।”
আলোনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, ইউডিপি। সারাদেশের সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার ২০ জন মেয়র এই আলোচনায় অংশ নেন।
এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানারস, বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বক্তব্য রাখেন।
এই আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল বিআইপি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ এবং বিআইজিডি।