র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’কে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
Published : 22 Nov 2020, 04:46 PM
শনিবার গ্রেপ্তারের পর এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা তিনটি করে র্যাব। রোববার তাকে পাঠানো হয় ঢাকার আদালতে।
পুলিশে আবেদনে তিন মামলায় মনিরকে মোট ১৮ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের দুই বিচারক।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিক অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিন এবং মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান মাদক মামলায় চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে মনিরকে মোট ১১ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ।
অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার রিমান্ড একযোগে চলবে বলে তা ৭ দিনের হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।
আদালতে রিমান্ড বাতিল চেয়ে মনিরের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, “বিশেষ ক্ষমতা আইনের কোনো উপাদান নেই মামলায়। তাছাড়া স্বর্ণালঙ্কার যা উদ্ধার হওয়ার কথা, তার সবই উদ্ধার করা হয়েছে। সে কারণে তাকে অহেতুক রিমান্ডে নেওয়ার দরকার নেই।”
মাদক মামলায়ও একই রকম বক্তব্য রাখেন এ আইনজীবী।
কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মনির কোনো কথা বলেননি।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মেরুল বাড্ডায় মনিরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছয় তলা ওই বাড়িতে নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৯ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
‘গোল্ডেন মনির’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি সোনা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী নন।
র্যাব বলেছে, ব্যবসা নয়, কার্যত সোনা চোরাচালানই ছিল মনিরের কারবার; পরে তিনি জড়িত হন জমির ব্যবসায়।
গামছা বিক্রেতা থেকে জমির ব্যবসার ‘মাফিয়া’ হয়ে ওঠা মনিরের বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার বিষয়টিও ওই অভিযানের পর সামনে আসছে।
তার বাড়িতে পাঁচটি গাড়ি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি গাড়ির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।