বিশ্বজুড়েই শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চ শিক্ষার আকর্ষণীয় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ভিসা বন্ধ থাকায় অনেকের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে।
Published : 14 Oct 2020, 12:15 PM
উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনেচ্ছু এই শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস নতুন শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন নিচ্ছে না, কবে থেকে নেবে, তাও বলছে না। ফলে তাদের অনিশ্চয়তা কাটছে না।
গত অগাস্ট থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া ফল সেমিস্টারে নতুন ভিসা না পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাজারেরও বেশি।
ভিসা পেতে এই শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও সাড়া মেলেনি।
এর মধ্যে কেউ কেউ তাদের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ, অ্যাসিসটেন্টশিপ স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত পেছাতে পেরেছেন। কিন্তু দূতাবাস এখনও সাড়া না দেওয়ায় তাদের আগামী জানুয়ারির যাত্রাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৭০ থেকে ৯০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যায়। এর বড় একটি অংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তথ্য বলছে, দেশটিতে ৪৫০০’র বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে গড়ে বছরে ১৫০০০ থেকে ২০ হাজার ডলার টিউশন ফি লাগে। থাকা, খাওয়া-শিক্ষা উপকরণের খরচ তো রয়েছেই।
যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফল ও স্প্রিং সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। অগাস্টের শেষ থেকে সাধারণত ফল সেমিস্টার শুরু হয়। ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে এই সেমিস্টার শেষ হলে শুরু হয় স্প্রিং সেমিস্টার। চলে মে পর্যন্ত।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত ফল সেমিস্টারেই যায়।
বিদেশ গমনেচ্ছুরা বলছেন, ভর্তির জন্য যোগাযোগ, আবেদন ইত্যাদি কার্যক্রম শুরু করতে হয় প্রায় এক বছর আগে। ভর্তির জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবশ্যক শর্ত হিসেবে দরকার হয় জিআরই/জিম্যাট-টোফেল/আইইএলটিএস। এ সবের প্রস্তুতিতে আরও এক বছর সময় যায়।
ভর্তি হতে পারার সঙ্গে ফান্ডিংয়ের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অধিকাংশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীই ব্যয়বহুল মার্কিন শিক্ষা নিজের টাকায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে না। তাই স্নাতক পর্যায়ে সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। তবে মাস্টার্স ও পিএইচডিতে স্কলারশিপ, ফেলোশিপ, রিসার্চ অ্যাসিসটেন্টশিপ, টিচিং অ্যাসিস্টেন্টশিপের সুযোগ রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে মেলে এর কোনোটি। এগুলোর কোনোটি পাওয়া গেলে অনেক সময় মওকুফ হয় ব্যয়বহুল টিউশন ফিও। সবকিছু মিলে গেলে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
এই প্রক্রিয়ায় একেবারে শেষে থাকে ভিসা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে ভিসা নেয়ায় দীর্ঘসূত্রতা থাকায় ভিসার জন্য আগেভাগেই কাজ শুরু করতে হয়।
কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে স্বাভাবিক সব প্রক্রিয়া।
করোনাভাইরাস মহামারীতে কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর কয়েক ধরনের ভিসা নবায়নের আবেদন নেওয়া শুরু করেছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ছিলেন ও পুনরায় লেখাপড়ায় ফিরে যেতে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীসহ নির্দিষ্ট কয়েক ধরনের নন-ইমিগ্রান্ট (যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে) ভিসা নবায়নের আবেদন করতে পারছেন। নতুন শিক্ষার্থীদের সুযোগ এখনও খোলেনি।
গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য এক কঠোর-কঠিন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছেন বুয়েটের এক সাবেক শিক্ষার্থী। তিন বছর পরে এসে ভর্তির পর ভিসা না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার যাওয়ার অনিশ্চয়তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে সমাজে চলার সমস্যাও।
তিনি বলেন, “তিন বছরের সংগ্রামের পর আমার বর্তমানে কোনো ‘সোস্যাল লাইফ’ নেই। যদি এখন যেতে না পারি, তাহলে সামনেও সম্ভবত থাকবে না।
“আমার মা একজন ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগী। প্রস্তুতির সময়ে তাকে এবং আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তাকে কি এখন এটাও শুনতে হবে যে, ‘কই আপনার ছেলে না আমেরিকা যায়?’ এতদিন চাকরি নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে, এখন আমেরিকা যাওয়া নিয়ে শুনতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র যেতে না পারলে বিকল্প নিয়েও এখন আর ভাবতে পারছেন না তিনি।
তিনি বলেন, “দেশে আমার ফিল্ড রিলেটেড সরকারি চাকরি নাই। আমি একজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েটও নই। তাই প্রাইভেট চাকরি পাওয়াও প্রায় অসম্ভব। একমাত্র অপশন বিসিএস হতে পারে। সেটাও অনিশ্চিত একটা পথ।”
তিনি বলেন, “আমার (যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে) বিভাগে প্রত্যেক নতুন শিক্ষার্থী ৬ সপ্তাহ করে দুজন অধ্যাপকের অধীনে কাজ করে। এরপর তারা তাদের পিএইচডি সুপারভাইজার পছন্দ করে। আমার ক্লাসের সবাই এটা করছে। আমি এটা ঘরে বসে করতে পারব না। সুতরাং আমি স্প্রিং এ যেতে পারলেও গিয়ে দেখব, সব ভালো ভালো প্রজেক্ট অন্যদের কাছে চলে গেছে।
এই শিক্ষার্থী বলেন, “আমি যদি এই ফান্ড হারাই, সম্ভবত আর কখনোই মিনিংফুল ক্যারিয়ার পাব না। গত তিন বছর ধরে আমার সব সংগ্রাম শূন্য হয়ে যাবে।
“ভর্তির পর ভেবেছিলাম এবার সুদিন ফিরবে। আশা ছিল, জুলাইয়ের মধ্যে অ্যাম্বেসি ভিসা দিতে শুরু করবে। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই অনলাইন অ্যানরোলমেন্টে আমাকে যেতে হয়েছে।
আমি আশা করেছিলাম, অ্যাম্বেসি সেপ্টেম্বরে খুলবে, অক্টোবরে খুলবে। কিন্তু তাদের থেকে কোনো সংবাদ নেই।”
“এই আঘাত কেবল আমার উপর নয়, বরং সব বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উপর পড়বে। সবচেয়ে হতাশার বিষয় হচ্ছে, নাইজেরিয়া, ঘানা, পাকিস্তানের মতো দেশেও অ্যাম্বেসি শিক্ষার্থীদের ভিসা দিচ্ছে।”
আরেকটি গল্প ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বরকত মিয়ার, যার জন্য জিআরই-টোফেলের ফি জোগাড়ই ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের। দিন-রাত টিউশনি করে জোগাড় করেছেন সেই টাকা। ধার করা টাকায় আবেদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও ভিসার জন্য আটকে গেছে তার যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন।
শফিকুল ইসলাম স্বদেশ ২০১৯ এর ফল সেমিস্টারে ফুল ফান্ড পেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় ভিসার প্রক্রিয়ায় চার মাস আটকে ছিলেন তিনি। এর মাঝে বাতিল হয়ে যায় তার ফান্ডিং। এবারের ফল সেমিস্টারে আবার ফুল ফান্ড পেয়ে যান তিনি। কিন্তু এখনও ভিসা পাননি তিনি।
এবার করোনাভাইরাসের কারণে তিনি অনলাইনে ক্লাস করছেন। ক্লাস করার জন্য ছেড়েছেন চাকরি। স্প্রিং এ যদি যেতে না পারেন, তাহলে কী হবে, সেটা তিনি ভাবতে পারছেন না।
ইমরান হোসেন মাহদী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমি ফুল ফান্ড পেয়ে ফল-২০ এ ভর্তি হয়েছি। কিন্ত কোভিড-১৯ এর কারণে ভিসা পাইনি। তাই ভর্তি পিছিয়ে স্প্রিং-২০২০ এ নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এখনো অ্যাম্বেসি নিয়মিত ভিসা ইন্টারভিউ নিচ্ছে না। যদি আমি স্প্রিং-এর আগে যেতে না পারি, তাহলে আমার ফান্ড বাতিল হয়ে যাবে।”
ফল সেমিস্টার থেকে স্প্রিং এ ভর্তি পেছানো লুবনা নামে আরেক শিক্ষার্থীও আশঙ্কা করেছেন, এরপর তিনি ভর্তি পেছাতে বললে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার ফান্ডিং।
উম্মে মারিয়াম মীম বলেন, “আমি যদি স্প্রিং সেমিস্টারে যেতে না পারি, তাহলে আমার ফান্ড বাতিল হতে পারে। আমি নিজের টাকায় পিএইচডি করতে যাওয়ার সামর্থ্য রাখি না।”
একই সমস্যায় আছেন রুবাইয়া-ফয়সাল দম্পতিও।
রুবাইয়া জান্নাত বলেন, “আমরা গত এপ্রিলে ফি দিয়েছি। সাধারণত এটা এক বছর ভ্যালিড থাকে। এখন যদি স্প্রিং এ যেতে না পারি। তাহলে আমাদেরকে এই ফি টাও আবার দিতে হবে।”
ততদিনে আবার তাদের ফান্ড থাকবে কি না, সেটা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে তার।
রুবাইয়া-ফয়সাল দম্পতির ছোট্ট এক ফুটফুটে সন্তান। মা-বাবার সঙ্গে তারও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল। স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত মা-বাবার ভর্তি টিকে থাকলেও প্রি-স্কুলে ফল সেমিস্টারে তার ভর্তি এরই মধ্যে বাতিল হয়ে গেছে।
খাইরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর আশঙ্কা, ভারত, পাকিস্তানে ভিসা দেওয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বসে না থেকে ফান্ডিং পজিশনগুলো তাদেরকে দিয়ে দেবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ড পেতে হয়। আবেদনের প্রক্রিয়ায়ই তাদের এক থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করতে হয়। এখন ভিসা না হওয়ায় তাদের কষ্টার্জিত বৃত্তি বা স্কলারশিপ হারাতে বসেছেন তারা।
তিনি বলেন, “এ রকমও হয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে ভিসা না দেওয়ার বিষয়টি যখন অধ্যাপক জানতে পেরেছে, তখন তিনি ফান্ডিংয়ের আবেদনই প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই ফাঁকা জায়গাগুলো এখন ভারতের মতো দেশ, যেখানে ভিসা দেয়া হচ্ছে, সেখান থেকে পূরণ করা হচ্ছে। যদিও তাদের কোভিডের অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ।”
তার আশঙ্কা, এতে সার্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপকদের কাছে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ও গ্রহণযোগ্যতার হার কমে যাবে। কারণ তাদের একটা প্রবণতা হচ্ছে, তারা এমন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই কাজ করতে চায়, যে দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেও কাজ করেছে। তার প্রশ্ন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় যাদের ভিসা আছে, তারা কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছে। তার মানে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া কোনো সমস্যা না। তাহলে কনস্যুলেট কেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘এফওয়ান ভিসা’র কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না?
কেউ কেউ আবার শুরু করেছেন অনলাইন ক্লাস। কিন্তু সে জন্য দিতে হচ্ছে বাড়তি ফি। এদের অনেকে দেশের চাকরি ছেড়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছেন। এরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত যেতে না পারলে তারা দুই কূলই হারাবেন।
মোহসিনা জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “অনলাইনে ক্লাস করতে হলে সবাইকেই কিছু বাধ্যতামূলক স্টুডেন্ট ফি দিতে হয়। এটা যারা ফুল ফান্ড পায় তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভিসা না পেলে সবাই বিপদে পড়ব।”
সম্প্রতি ভিসা নিয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করেছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। সেখানে কথা বলেন কনসুলার চিফ উইলিয়াম ডোয়ারস।
তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার আবেদন তারা এখন গ্রহণ করছেন না।
“শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ আছে, কিন্তু শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে এবং যাদের ভিসার মেয়াদ গত ২৪ মাসে শেষ হয়েছে-তারাই কেবল ভিসার আবেদন করতে পারবেন।”
কবে নাগাদ নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ খুলবে-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা তাদের দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভবপর নয়। যা করা হবে, সেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেলেই করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কোয়ারেন্টিন বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা না করে ভিসা বন্ধ করে দেওয়া কি বৈষম্য নয়- কয়েকবার এমন প্রশ্ন করা হলেও তার জবাব মেলেনি এই কর্মকর্তার কাছ থেকে।
পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ভিসা দেওয়ার বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডোয়ারস বলেন, প্রত্যেক দেশের দূতাবাস আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেয়।
ভিসা প্রত্যাশীদের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল। সেখানে তারা একজন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে বিষয়টি নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবেন।
আগামী ১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগানের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তার কাছেও বিষয়টি পাড়ার আশ্বাস মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান।