বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এনু ও রুপনের পক্ষে তাদের আইনজীবী শাম্মী আক্তার জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে এ আইনজীবী বলেন, “জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের যে অভিযোগ এটি মিথ্যা। শুধু হয়রানির জন্য একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফসল এ মামলা। একটি গোষ্ঠী ইর্ষা থেকে এ কাজ করছে। জ্ঞাত আয়ের বাইরে তাদের গহনা দেখানো হয়েছে যেটি আসলে তাদের স্ত্রীরা ব্যবহার করতেন।”
জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার এই দুই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য একই আদালত আগামী ২৬ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন দিয়েছেন।
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছর সেপ্টেম্বরে ওই ক্লাব থেকে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধারের পর দুই দফায় তাদের দুটি বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব।
এনু ও রুপনের ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে গত ২৩ অক্টোবর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।
এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
অন্যদিকে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
দুদকের আইনজীবী দলের সদস্য মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, এই আদালতেই এনু ও রুপনের ৯১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতি বা রোববার তার ওপর আদেশ হতে পারে।