প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার আসামিকে ধরতে পরোয়ানা

ট্রেনে কাটা পড়ে দুই হাত হারানো এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামি মো. সজীবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2020, 03:34 PM
Updated : 23 Feb 2020, 03:34 PM

রোববার ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এই পরোয়ানা জারি করেন।

সম্প্রতি ওই তরুণী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, “আমরা গরিব, ভার্সিটিতে পড়ি না। তাই পুলিশ আমাদের কথা শোনে না।”

গত জানুয়ারিতে বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া এলাকায় ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের এক শিক্ষার্থী ধর্ষিত হওয়ার পর ধর্ষককে ধরতে পুলিশের তৎপরতা দেখে তিনি ওই কথা বলেছিলেন।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৮ সালের ২২ মে ঢাকার খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। তিনি খিলগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে থাকতেন।

মামলায় বলা হয়, ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের জেরে গত বছর ২০ মে তাকে নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে ২৫ বছর বয়সী সজীব। এতে তার গর্ভে সন্তানও আসে। পরে ছেলেটি জোর করে ওষুধ খাইয়ে সেই সন্তান নষ্ট করে।

মামলার পর দুই বছর হতে চললেও আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক রুশদ হাসান গত ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে সজীবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এবার অন্তত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা করছেন ওই তরুণী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. কাউসার আহমেদ জানান, ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী বিবাহের জন্য চাপ দিলে আসামি তাকে ‘মেরে ফেলার হুমকি দেয়’। ধর্ষণ ও গর্ভের সন্তান নষ্টের বিষয়টি অভিযোগপত্রেও এসেছে।

এই আইনজীবী আরও বলেন, “আমি ভুক্তভোগীকে সঙ্গে নিয়ে গত বছর বিষয়টি মীমাংসার জন্য আসামির গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার নাতিরপুরের বস্তিতে যাই। তখন আসামি সজীব সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং আমাদেরকে হুমকি দিতে থাকে।”