অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক মাহবুবুল আনামকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
Published : 13 Feb 2020, 04:42 PM
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ক্রিকেট বোর্ডে যারা আছেন, তারা জানেন আমি কী করি, যা জানার তাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দুদক আমার কাছে সম্পদ বিবরণী চেয়েছে। আজ তা জমা দিয়েছি।”
দুদকের উপ-পরিচালক মনজুর আলম এই অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন। তিনিই মাহবুবুল আনামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে চিঠি দিয়ে তলব করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর মাহবুবুল আনামের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় দেয় দুদক।
ইমিগ্রেশনের পুলিশের কাছে তখন পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, “বিদেশে অর্থ পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধান কাযক্রম পরিচালনার স্বার্থে মাহবুবুল আনামের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।”
গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাহবুবুল আনামকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিস দিয়েছিল দুদক।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে বলা হয়, কমিশনের প্রাথমিক অনুসন্ধানে মাহবুবুল আনামের নামে চার কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬২ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
বিসিবির এ পরিচালকের বিরুদ্ধে দুদকে কাছে অভিযোগে আসে, টেন্ডারে অনিয়মের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে, ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ করে ও স্পন্সর নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এ বিসিবি পরিচালকের বিরুদ্ধে।
ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং, পর্যটন সেবা ও কুরিয়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে মাহবুবুল আনামের। তিনি বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএফএফএ) সভাপতির দায়িত্বেও আছেন।