যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জি কে শামীম এবং ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলা বিচারের জন্য নতুন আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
Published : 10 Feb 2020, 09:10 PM
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সোমবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলা দুটি ঢাকার আট নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। ওই আদালতে আগামী ২৩ মার্চ মামলা দুটি উঠবে।
গত বছর ১৭ নভেম্বর খালেদ ও ২৩ নভেম্বর জিকে শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর মামলা দুটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই অভিযানে গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ জব্দ করা হয়।
পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করে র্যাব। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও মামলা হয় জিকে শামীমের বিরুদ্ধে।
এর আগে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ক্লাবের সভাপতি খালেদকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে বিদেশি মদ ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম জব্দ করে র্যাব।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তার নামে গুলশান ও মতিঝিল থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মোট চারটি মামলা করা হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদের বিরুদ্ধে ২১ অক্টোবর আরেকটি মামলা করে দুদক।