হত্যাকাণ্ডের পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রমজান (২২) এবং ইউসুফ (২৩)।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “আমরা দুজনকে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঢাকার বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।”
‘হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে’ বললেও সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে রহিমা বেগম (৬০) ও তার গৃহকর্মী সুমি আক্তারের (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রহিমা ওই বাসায় একাই থাকতেন। আর সুমি খুনের এক দিন আগে ওই বাড়িতে কাজ নিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
রহিমার মেয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার নিতে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই বাসায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলত। গ্রেপ্তার দুজন গ্রাহক এবং মেয়ে জোগাড় করে আনত।”
‘দেহ ব্যবসার’ অর্থ নিয়ে বিরোধে রমজান ও ইউসুফ ওই দুই নারীকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
হত্যার ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ‘পালিত পুত্র’ সোহেলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় পুলিশ।