নিহত বৃদ্ধার মেয়ে রশিদা ব্গেম মঙ্গলবার রাতে বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আকতার হোসেন জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ‘পালিত পুত্র’ সোহেলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে রহিমা বেগম (৬০) ও তার গৃহকর্মী সুমি আক্তারের (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা আকতার বলেন, রহিমার মেয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা রাশিদা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছেন; মামলা রুজু হওয়ার প্রক্রিয়াধীন।
“তদন্তে হত্যার ঘটনায় সোহেলের জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। সোহেলই রাশিদাকে তার মা খুন হওয়ার বিষয়টি ফোনে জানায়।”
কুদ্দুস নামে নিহত রহিমার স্বামী থাকলেও তার সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার খায়রুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুত্র সোহেল মাঝে-মধ্যে ওই বৃদ্ধার বাসায় এসে থাকত।
পিরোজপুরের মেয়ে সুমী একদিন আগেই মিরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা রহিমার বাড়িতে কাজ নিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।