অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
Published : 17 Nov 2019, 12:30 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তাকে আদালতে হাজির করে রোববার সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
শুনানি ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস ছয় দিনের হেফাজতের আদেশ দেন বলে দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন।
গত ১২ নভেম্বর দুদকের উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা সমমূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।
শুনানিতে রিমান্ডের বিরোধিতা করে সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা বলেন, “দুদকের আইন অনুযায়ী, সম্পদ বিবরণী দাখিলের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি সম্রাটকে; কোনো নোটিসও দেওয়া হয়নি। তাই মামলা ও রিমান্ড- দুটোই অবৈধ।”
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সম্রাট ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট কিনেছেন, প্লট কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও নামে বেনামে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
সম্রাটের পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। আরমানের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিল-ফকিরাপুলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট।
৭ অগাস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর সম্রাটের পাশাপাশি আরমানকে ঢাকা দক্ষিণের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।