গত ১৮ জুলাই এ আদেশ দিয়ে হাই কোর্ট বলেছিল স্বাস্থ্য সচিব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যদি মনে করেন, তাদের অন্য কোথাও পদায়ন করবেন, তবে তা তারা করতে পারবেন।
সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে ওই দুই কর্মকর্তা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে গত ২৩ জুলাই আদালত হাই কোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দেয়।
রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ৮ আগস্ট চেম্বার আদালতের আদেশটি প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার সেই আবেদনটি মঞ্জুর করায় হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় রীড ফার্মার বিরুদ্ধে এক দশক আগের এক মামলার রায় হয় ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর। সেই রায়ে পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেন ঢাকার ঔষধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান।
রায়ে বিচারক বলেন, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তখনকার সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেনের ‘অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে’ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও চলতি বছরের ৩১ মার্চ ‘তিরস্কার’ করে তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ঔষধ প্রশাসন। দুই কর্মকর্তা তখন আবার চাকরি শুরু করেন।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট গত ১৮ জুলাই ওই দুই কর্মকর্তার চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়।
আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন হাই কোর্টের ওই নিষেধাজ্ঞাই বহাল থাকল।