ডেঙ্গু শনাক্ত করতে সরকারি হাসপাতালগুলো বিনামূলে রক্ত পরীক্ষা করছে কি না এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে কি না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 25 Jul 2019, 06:40 PM
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মৌখিক আদেশ দিয়েছে।
সোমবারের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছ থেকে জেনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে।
‘ডেঙ্গু পরীক্ষায় অযৌক্তিক ফি’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বুধবার আদালতের নজরে আনার পর এ আদেশ দেয় হাই কোর্ট বেঞ্চ।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোশতাক আহমেদ চৌধুরী।
আদেশের পর এ আইনজীবী বলেন, “পত্রিকায় এসেছে, ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ৪/৫ গুণ বেশি ফি নিচ্ছে। ১৪৫ টাকার পরীক্ষায় নিচ্ছে অনেক টাকা। কেউ ১৭০০, আবার কেউ ১৮০০ টাকা নিচ্ছে। এটা কোর্টের নজরে এনেছি।
“কোর্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, ফি আসলে কত হবে সেটা তারা জানাবেন। আগামী সোমবার এটা জানাতে হবে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো কত নিচ্ছে এবং পরীক্ষার খরচ আসলে কত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির কাছ থেকে জানতে হবে। সরকারি হাসপাতাল ফ্রি করাচ্ছে কিনা- এটাও জানতে চেয়েছে আদালত।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, “আদালত বলেছে, অধিদপ্তরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে কিনা, নিলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সেটা জানাতে।”
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। হাসপাতালে পৌঁছে মানুষ প্রথমেই জানতে চান, ডেঙ্গু হয়েছে কি হয়নি। ঠিক এ সুযোগটাই কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি বেশি রাখছে। তাদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “আজ (বুধবার) সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগির এ ব্যাপারে সরকারের নির্দেশনা সব হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরীক্ষা ফি যৌক্তিক সীমায় রাখতে হবে।”