বিটিসিএলের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে বিটিসিএল থেকে একটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের সংযোগ নিয়ে সরকারের ৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে এক মামলার অধিকতর তদন্তে বিটিসিএলের সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2019, 05:33 PM
Updated : 12 June 2019, 05:33 PM

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল)  প্রধান কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক) মাহফুজার রহমান, সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) মো. আব্দুল হালিম, সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক) মাহবুবুর রহমান, সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) এ কে এম আসাদুজ্জামান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাইদ খাঁন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খাবিরুজ্জামান ও সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. ইলিয়াস কামাল।

এছাড়া অপর দুই আসামি হলেন- আন্তার্জিাতিক কল সংযোগ পাওয়া সিঙ্গাপুরী প্রতিষ্ঠান আই পাওয়ার কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেডের পরিচালক মো. মাকসুদুল লতিফ এবং তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি রাজটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসিবুল বাসার।

ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে সংযোগ গ্রহণ এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর রমনা থানায় বিসিটিএলের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান মামলাটি করেন।

এই মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।

পরে দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এ মামলার তদন্তের দাত্বি পান।

পরে তিনি মামলার তদন্ত করে বিটিসিএলের পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ২০১৫ সালে আই পাওয়ার কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেডের পরিচালক মো. মাকসুদুল লতিফ এবং তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি রাজটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসিবুল বাসারকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০১৮ সালের ২১ মে এই ঘটনার সাথে বিটিসিএলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টা রয়েছে কি না সেই বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। অধিকতর তদন্তে ওই নয়জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিটিসিএলের ওই সব কর্মকর্তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক কল সংযোগ গ্রহণ করে পরে বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে সংযোগ ও পুনঃসংযোগ গ্রহণ করে বিটিসিএলের ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।