বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক) মাহফুজার রহমান, সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) মো. আব্দুল হালিম, সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক) মাহবুবুর রহমান, সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) এ কে এম আসাদুজ্জামান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাইদ খাঁন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খাবিরুজ্জামান ও সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. ইলিয়াস কামাল।
এছাড়া অপর দুই আসামি হলেন- আন্তার্জিাতিক কল সংযোগ পাওয়া সিঙ্গাপুরী প্রতিষ্ঠান আই পাওয়ার কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেডের পরিচালক মো. মাকসুদুল লতিফ এবং তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি রাজটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসিবুল বাসার।
এই মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
পরে দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এ মামলার তদন্তের দাত্বি পান।
পরে তিনি মামলার তদন্ত করে বিটিসিএলের পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ২০১৫ সালে আই পাওয়ার কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেডের পরিচালক মো. মাকসুদুল লতিফ এবং তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি রাজটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসিবুল বাসারকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ২১ মে এই ঘটনার সাথে বিটিসিএলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টা রয়েছে কি না সেই বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। অধিকতর তদন্তে ওই নয়জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিটিসিএলের ওই সব কর্মকর্তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক কল সংযোগ গ্রহণ করে পরে বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে সংযোগ ও পুনঃসংযোগ গ্রহণ করে বিটিসিএলের ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।