নুসরাত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ডাকসুকে না দেখে হতাশ তোফায়েল

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর যখন সারাদেশ সরব, তখন ডাকসুর কোনো প্রতিবাদ না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2019, 05:51 PM
Updated : 15 April 2019, 05:51 PM

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি সোমবার এক অনুষ্ঠানে বর্তমান নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, “এটা আমাকে ব্যথিত করেছে। কারণ আজকে যে সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে, এটার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।”

তিন দশক বাদে ডাকসু নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব পালন নিয়ে ‘ডাকসু ও হল সংসদ : অভিজ্ঞতা শুনি সমৃদ্ধ হই’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন চত্বরের এই অনুষ্ঠানে ডাকসুর ভিপি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর, জিএস ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাতক গোলাম রাব্বানীসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার আগে ডাকসুর ভিপি হিসেবে রাজনৈতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা তোফায়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভালো’ পরিবেশ রাখার উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, “শিক্ষকদের সাথে যদি ছাত্রদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ-পরিস্থিতিও ভালো হয়।

“তবে একটা কথা না বললেই নয়, শিক্ষকরা আমাদের সময় রাজনীতি করতো না, যার জন্য প্রত্যেকটি ছাত্র শ্রদ্ধা করত শিক্ষকদের। কিন্তু এখন শিক্ষকরা কেউ করি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কেউ জিয়া পরিষদ।”

বর্তমান ডাকসু ও হল সংসদে ছাত্রলীগ এবং অন্য আদর্শের যারা আছেন, তারা সবাই একাট্টা হয়ে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তোফায়েল, যার সময়ে ডাকসুর জিএস ছিলেন তার আদর্শের বিপরীতে থাকা নাজিম কামরান চৌধুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যাতে অছাত্ররা থাকতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুকে একে অন্যের ‘পরিপূরক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এখানে কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয়। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সবাইকে সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন ছিলেন বিশেষ অতিথি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।