এইচএসসিতে এবার সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন; যা গতবারের চেয়ে ৪০ হাজার ৪৮ জন বেশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2019, 10:54 AM
Updated : 25 March 2019, 11:08 AM

আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত হবে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।

সচিবালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

গত বছর ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার ২ হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির এই চূড়ান্ত পরীক্ষা দেবে। গতবারের চেয়ে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১১৮টি; কেন্দ্র বেড়েছে ৩৮টি।

এইচএসসিতে এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৪৩ জন পরীক্ষা দেবে।

মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন ছাত্র; বাকি ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ২৭৫ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে, এর মধ্যে ১২৭ জন ছাত্র, ১৪৮ জন ছাত্রী।

পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। ‘অনিবার্য কারণে’ কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরির কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে পাঠাবেন।

কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন একটি ফোন ব্যবহার করবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না।

ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরাও কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাচের মাইক্রোবাস বা এ ধরনের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে তার কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।

আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।