ঢাকার নদ্দায় বাসচাপায় সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে গিয়েছিলেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর, তবে তার উপস্থিতি ভালোভাবে নেননি ওই শিক্ষার্থীদের একাংশ।
Published : 19 Mar 2019, 07:08 PM
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক ছাত্রের মৃত্যুর পর রাস্তায় নেমে আসেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়ক অবরোধ করে দোষী চালকের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
ঘণ্টা দুয়েক পর সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সড়ক ছাড়ার অনুরোধ জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে শিক্ষার্থীরা তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে অবরোধ চালিয়ে যেতে থাকেন। এরমধ্যে একটি বাসে আগুনও দেওয়া হয়।
পরে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের আরেক নেতা রাশেদ খানকে নিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে যান ভিপি নূর।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান গেইটে জেব্রা ক্রসিংয়ের যে জায়গায় আবরার নিহত হয়েছেন, সেখানে নূর যেতে চাইলে আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ তাকে বাধা দেয়।
এ সময় নূরকে উদ্দেশ করে ‘চলে যান, চলে যান’ ও ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে চিৎকার করতে থাকেন তারা।
এ সময় সড়ক বিভাজকের উপর আন্দোলনকারীদের তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চ থেকে তাদের প্রতিনিধি মাঈশা নূর ঘোষণা দেন, “আমরা নূরকে অ্যাকসেপ্ট করছি না।”
নূর বেরিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নূর, তখনও তার বিরুদ্ধে স্লোগান চলতে থাকে।
নূর তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হবে। আপনারা সচেতন থাকবেন। আপনারা আপনাদের আন্দোলন করবেন। কোনো প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি।”
আন্দোলনরতদের নিয়ে কোনো ‘কূটকৌশল’ করা হলে ছাত্রসমাজ তার ‘দাঁতভাঙা জবাব দেবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে কোটাবিরোধীসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আন্দোলনে থামাতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন নুরুল হক নূর।
তিনি বলেন, “ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় রাষ্ট্র বর্বর ভূমিকা পালন করেছে। রাষ্ট্রের সমর্থনে হেলমেটবাহিনী হামলা করেছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে। পুলিশি নির্যাতন হয়েছিল।”
গত বছর অগাস্টে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান নূর।
নূর সেখান থেকে চলে আসার পর আন্দোলনকারীদের একজন ফয়সাল এনায়েত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের একটি গ্রুপ নূর ভাইকে এখানে আসতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু তিনি যদি আবারও আসেন আমাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে, তবে নিশ্চয়ই আমরা তার সাথে কথা বলব।
“তিনি চাইলেই আসতে পারেন।”