ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যার আসামি অপর গৃহকর্মী রেশমাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তারা দুই গৃহকর্মী মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা ‘স্বীকার করেছেন’।
Published : 27 Feb 2019, 05:40 PM
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজার লাশ উদ্ধারের পর স্বপ্না ওরফে রীতা নামের তাদের এক গৃহকর্মী এবং রুনু নামের একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বুধবার সকালে মিরপুর ১৩ নম্বর থেকে মামলার অপর আসামি রেশমাকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানিয়েছেন।
বিকালে নিউ মার্কেট থানায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অধ্যক্ষ মাহফুজা হত্যাকাণ্ডের পর তাদের বাসার দুই গৃহকর্মী স্বপ্না ও রেশমা গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
“মূলত রেশমাই মামলার প্রধান আসামি। তাকে ধরার মধ্য দিয়ে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হল।”
মাহফুজার লাশ উদ্ধারের পর তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বপ্না ও রুনুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বপ্না গত ২০ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডে ‘দোষ স্বীকার করে’ আদালতে জবানবন্দি দেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেশমার বক্তব্যও স্বপ্নার স্বীকারোক্তির সঙ্গে ‘মিলে গেছে’ বলে নিউ মার্কেট থানার ওসি আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রুনু নামের ওই নারী রেশমাকে মাহফুজা চৌধুরীর বাসায় কাজে দিয়েছিলেন। রেশমা দেড় মাস কাজ করেছেন। আর স্বপ্না প্রায় নয় মাস ধরে কাজ করছিলেন।
“স্বপ্না ও রেশমা গ্রেপ্তার হওয়ার পর একই কথা বলেছে। তাদের একজন সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজাকে চেপে ধরে এবং অপরজন মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
“মহিলা (মাহফুজা) বাসায় অধিকাংশ সময় একা থাকেন এবং তার সম্পদ আছে এমন ধারণা থেকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশকে বলেছে রেশমা।”
গৃহকর্মী রেশমাকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি আতিকুলের বরাত দিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন।
তখন তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “রেশমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যারা এই সংবাদ প্রকাশ করছে, তা সত্য নয়।”