ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একটি শিশু অগ্নিকাণ্ডের ফলে স্থানান্তরের কারণে মারা গেছে।
Published : 14 Feb 2019, 10:44 PM
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারি এই হাসপাতালে আগুন লাগলে এতে ভর্তি ১২শ’র মতো রোগীর সবাইকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ওই শিশুটিকে পাঠানো হয়েছিল পাশের বেসরকারি কেয়ার হাসপাতালে।
দেড় বছর বয়সী শিশুটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কেয়ার হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল্লাহ খান।
তিনি রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। আগুন লাগার পর অক্সিজেন মাস্ক খুলে তাকে আনা হয়েছিল। আমরা তাকে ডেড হিসেবে পেয়েছিলাম।”
আগুন লাগার পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের রোগীদের অনেকে আতঙ্কে ছুটে বেরিয়ে আসেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অন্য রোগীদের বের করে নিয়ে আসে।
আগুনে শিশু ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া জানিয়েছিলেন।
যে শিশুটি মারা গেছে, তার কোনো নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
আবদুল্লাহ খান বলেন, “ওই সময় এত হুড়োহুড়ি ছিল যে তা রাখার অবস্থা ছিল না। শিশুটির স্বজনরা সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে চলে যায়।”
ওই সময় উপস্থিত থাকা কেয়ার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একই কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তাও একটি শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তবে আগুনে পুড়ে কেউ হতাহত হয়নি বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানিয়েছেন।
কেয়ারের মহাব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ খান জানান, সোহরাওয়ার্দী থেকে ৩০ জন রোগীকে আনা হয়েছিল তাদের হাসপাতালে। এরমধ্যে ২৭ জন ভর্তি হয়েছেন; তার মধ্যে সাতজনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে আসতে বাধ্য হওয়া এই রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেয়ার কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ খান।