সুষ্ঠু ভোট চায় যুক্তরাষ্ট্র: সিইসিকে রাষ্ট্রদূত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 11:29 AM
Updated : 11 Dec 2018, 06:41 PM

গেল মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের দায়িত্ব নেওয়া মিলার মঙ্গলবার প্রথম নির্বাচন কমিশনে যান।

বিকালে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সংবাদিকদের, “যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সব দল যেন বাধাহীনভাবে নির্বাচনী প্রচারণা, র‌্যালি, সমাবেশ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

যুক্তরাষ্ট্র কোন নির্দিষ্ট দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করে।”

নির্বাচন ঘিরে সংঘাত যেন না হয় সেই প্রত্যাশা জানিয়ে মিলার বলেন, সংঘাত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রধান বাধা।

“আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি।… সবাই, রাজনৈতিক দল হোক, আর সে যেই হোক, যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দুরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে।”

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতিকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। তারা পাঁচ সদস্যের প্রাক মূলায়ন দল অক্টোবরে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। ডিসেম্বরেও এ রকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল।

এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইকলকশন’ দুজন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে।

রবার্ট মিলার জানান, দূতাবাস থেকে সারা দেশে পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করা হবে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা নিয়ে তারা ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবেন। এই পর্যবেক্ষকরা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবেন।