জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দিয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আব্দুল হালিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
গত ২১ অক্টোবর রাতে এক বছরের শিশু নাবিলাকে নিয়ে তার মা রিকশায় করে নিউ মার্কেট থেকে মোহাম্মদপুর যাওয়ার পথে আসাদ গেইটের কাছে একটি কভার্ড ভ্যান রিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
এতে নাবিলা মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে।পরে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক নাবিলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনার পর মোহাম্মদপুর থানা কোনো মামলা নেয়নি। এমনকি আইনি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে আইনি নোটিস দিয়েও জবাব না পেয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে।
আইনজীবী হালিম সাংবাদিকদের বলেন, রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নে রুল জারি করেছে।
“শিশু নাবিলার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
“চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ নয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
আদালতের আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নাবিলার মৃত্যুর পর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আগামী ৬ জানুয়ারি রিটের পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে।