উন্নত এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ঢাকার ফুটপাতগুলোতে পথচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কাজ করছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Published : 21 Oct 2018, 08:48 PM
জাতীয় সংসদের রোববারের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীতে ফুটপাত উন্মুক্ত থাকে। কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনিভাবে মাঝে মাঝে ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
“জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় এদের উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহতভাবে পরিচালনা করছে। আদালতের নির্দেশনার আলোকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ফুটপাত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে বদ্ধপরিকর।”
মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পথচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
এই করপোরেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৫ দশমিক ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত সংস্কার ও উন্নয়ন করেছে। এর মধ্যে ৮০ কিলোমিটার প্রতিবন্ধীবান্ধব।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিগত ১০ বছরে ১৯৩ দশমিক ৭১ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে।
বর্তমানে আরো ২০ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে আরো ৮২ দশমিক ৪২ কিলোমিটার ফুটপাত উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মাদারিপুর-৩ আসনের সাংসদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের এক প্রশ্নে সংসদের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রাইভেটাইজেশন কমিশন গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কমিশনের সুপারিশে ৮১টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিল-কারখানা বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হস্তান্তরিত মিল-কারখানার মধ্যে ১৯টি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন; ৪টি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন; ৩০টি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন, ৫টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ২০টি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করা হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্পের জন্য বর্তমানে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তবে যারা সফল তাদেরকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।