বাজারে কৃষিপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে এক বছরের জেল ও এক লাখ জরিমানার বিধান রেখে কৃষি বিপণন বিল-২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে।
Published : 18 Sep 2018, 11:25 PM
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী। পরে বিলটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া প্রজ্ঞাপিত বাজারে বিপণন, লাইসেন্স ছাড়া গুদাম ও হিমাগার পরিচালনা করলে এবং কৃষিপণ্যের রপ্তানি, আমদানি করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়া, অতিরিক্ত চার্জ আদায়, কর্মচারীকে বাধা, কৃষিপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদর্শন না করলে, কৃষিপণ্যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব ব্যবহার করলে, ওজনে কম দিলে অপরাধ হবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
এসব অপরাধের জন্য এক বছরের জেল ও এক লাখ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে দ্বিগুণ দণ্ড হবে।
এ আইনের অধীনের অপরাধগুলোর জন্য মোবাইল কোর্ট দণ্ড দিতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
১৯৫৯, ১৯৬৪ ও ১৯৮৫ সালে বিভিন্ন সময় কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে আইন করা হয়। এসব আইন প্রয়োজনীয় সংশোধন করে বিলটি পাস করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরার পাশাপাশি সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ, কৃষি ব্যবসার উন্নয়ন, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গতিশীলতার আনতে এবং দেশের কৃষিজ অর্থনীতি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে বিলটি আপনা হয়েছে।”
‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ' বিল পাস
দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির চলমান প্রক্রিয়া আরও বেগবান করতে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন সংসদ কাজে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
পরে সেটিও কণ্ঠভোটে পাস হয়।
‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে কাজ করবে।
একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য সমন্বয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সরকার নিয়োগ দেবে, চাকরির মেয়াদ ও শর্ত সরকার নির্ধারণ করবে।
এই কর্তৃপক্ষ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ও কৌশল, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করাসহ ১০টি কাজ করবে। পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি থাকবে।