চাঁদাবাজির মামলায় মোজাম্মেলের জামিন

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে চাঁদাবাজির মামলায় জামিন দিয়েছে ঢাকার আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2018, 12:13 PM
Updated : 11 Sept 2018, 12:34 PM

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান জাহিদ জানিয়েছেন।

তবে আরেকটি মামলায় তাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন থাকায় আপাতত তার কারামুক্তি মিলছে না।

আইনজীবী জায়েদুর রহমান জাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানিতে আমরা বলেছি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের মামলার বাদি বলেছেন, তিনি আসামিকে চেনেন না। তাহলে কার ইশারায় মামলা হলো? এ মামলার ঘটনা মিথ্যা।

“আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।”

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ হেফাজতের আবেদন থাকায় তিনি আপাতত ছাড়া পাচ্ছেন না বলে এই আইনজীবী জানান।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী

সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রীর সমালোচনার মুখে পড়া যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলকে চাঁদাবাজির এক মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দুলাল নামে এক ব্যক্তি ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ঢাকার মিরপুর থানায় মামলা করার পরপরই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আদালতের অনুমতি দিয়ে হেফাজতে রেখে মোজাম্মেলকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। এরপর পুলিশ আরও ৫ দিনের রিমান্ডে চাইলেও আদালত তাতে সাড়া না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

এরপর সোমবার ঢাকার কাফরুল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে একই আদালতে আবেদন জানান কাফরুল থানার এসআই মো. রায়হান।

বিচারক আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এই আবেদনের শুনানির দিন রেখেছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে ‘ভুইফোঁড়’ সংগঠন আখ্যায়িত করে তাদের পরিসংখ্যান নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর মধ্যে পুলিশের এই উদ্যোগের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মোজাম্মেলের মুক্তি চেয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে সামসুদ্দীন বলেন, “সড়ক নিরাপত্তায় সরকার যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি কাজ করে। আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য কাউকে দায়ী করা না, যাত্রী সাধারণের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখিয়ে দেওয়া।”

এটি নিবন্ধিত একটি সংগঠন দাবি করে তিনি বলেন “সংগঠনটি ইতোমধ্যে যাত্রী অধিকার আদায়ে একমাত্র সংগঠন হিসেবে গণমাধ্যমের সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছে।