পাট রপ্তানির নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের এক মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 06 Aug 2018, 08:39 PM
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (খুলনা প্রিন্সিপাল অফিস) মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মানিক চন্দ্র মণ্ডল ও সাবেক অফিসার অজিত কুমার সরকার।
টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর খুলনার দৌলতপুর থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের দৌলতপুর কর্পোরেট শাখা থেকে ৪৯ কোটি ৬২ লাখ ১৪ হাজার ২৩৭ টাকা ঋণ দিয়ে আত্মসাৎ করেন। সুদাসলে এ অর্থ বেড়ে ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৫২ টাকা হয়।
প্রণব কুমার বলেন, “মামলার বাদী দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এহাজারে তিনজনের নাম উল্লেখ করলেও তদন্তে মোট সাতজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। বাদী নিজেই এ মামলা তদন্ত করেন।”
সোমবার দুদক সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সনজিত কুমার দাস, সোনালী ব্যাংকের (খুলনা) এজিএম মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. রুহুল আমিন ও ব্যাংকটির গোডাউন কীপার (মহেলপুর শাখা) মো. মতিয়ার রহমান।