জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্যোগ

শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করতে সারা দেশে ১৮০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে কম্পিউটার কাউন্সিল ও ইয়াং বাংলা।

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ১৮০টি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবকে’ কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এতে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালাও থাকছে।

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রাথমিক স্তর থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষণের ঘোষণা দেন। এরপর দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হতে চলেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্ক্র্যাচ’ এবং ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পাইথন’ রাখা হয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর হাই স্কুল প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে ‘সি’ ও ‘সি++’ ভিত্তিক কিছু কুইজ এবং কিছু প্রবলেম সলভ করার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।

জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বাছাইকৃত স্কুলগুলোর আইসিটি শিক্ষক ও ইয়াং বাংলার একজন সমন্বয়ককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, “সরকার আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে।”

শিশুদের স্ক্র্যাচের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং শেখাতে বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। 

২০১৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে আট কোটিতে উন্নীত হয়েছে বলে জানান।

সিআরআইয়ের সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, কর্মশালা থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন।

দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালার প্রথম দিনে পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ- এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বাছাইকৃত আইসিটি শিক্ষক এবং ল্যাব কো-অর্ডিনেটরদের। তারা নিজ নিজ এলাকায় প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থী বাছাই করবেন।

শিক্ষার্থী বাছাই শেষে প্রতিটি ল্যাবে তিন দিন পাইথন এবং তিন দিন স্ক্র্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে দুটি পৃথক দিনে পাইথন এবং স্ক্র্যাচভিত্তিক অনলাইন প্রতিযোগিতা হবে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি জেলা হতে পাইথন ও স্ক্র্যাচভিত্তিক বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হবে। পরবর্তীতে এই জেলাভিত্তিক বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ‘পাইথনভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ এবং দুই দিনের ‘স্ক্র্যাচভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প‘ আয়োজন করা হবে।

এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে থেকে সেরা প্রকল্পগুলোকে সমাপনী এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হবে।