রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষায় একটি কেন্দ্রের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি আসন স্বল্পতার কারণে।
Published : 12 Jan 2018, 05:14 PM
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা শুক্রবার বিকালে মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ ও ভাংচুর চালিয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটি।
এই কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন খান সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তাদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে জরুরি সভা চলছে।”
মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৫৬০০ চাকরিপ্রত্যাশীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও ক্যাশ অফিসার পদে নিয়োগের এই সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগকে।
এক রিট আবেদনে এ পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের আদেশে এই পরীক্ষা নেওয়ার পথ তৈরি হয়। আগের ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলে।
এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রবেশপত্র সংগ্রহকারী দুই লাখ ১৩ হাজার ৫২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে আটটি ব্যাংকের মোট এক হাজার ৬৬৫টি শূন্য পদে কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়ার কথা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই নিয়োগ পরীক্ষায় তার বোনের সিট পরেছিল মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে। বোনকে নিয়ে তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু গণ্ডগোলের মধ্যে ওই কেন্দ্রে আর পরীক্ষাই হয়নি।
“এক বেঞ্চে ৮-১০ জন বসিয়েছে, এতে সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে আসে। অনেকে ওএমআর শিট নিয়েই ফিরে গেছে। এই কেন্দ্রের কেউই পরীক্ষা দিতে পারেনি।”
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে প্রার্থীরা ওই কলেজের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিরপুর বাংলা কলেজের পরিস্থিতিও ছিল প্রায় একই রকম।
শাহ আলী থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জায়গা না হওয়ায় কেন্দ্রের ভেতরে ঝামেলা হয়েছে বলে আমরা শুনেছি।”
এ সমস্যা কেন হল, সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।