গুরুতর অসুস্থ কথাসাহিত্যিক শওকত আলীকে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Published : 04 Jan 2018, 09:21 PM
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে আনা হয় বলে ল্যাব এইডের এজিএম (কর্পোরেট কমিউনিকেশনস) সাইফুর রহমান লেনিন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শওকত আলী এখন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক সমীরণ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
“বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে তার। তার শারীরিক অবস্থা খুব ভালো নয়।”
৮১ বছর বয়সী শওকত আলীর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে বলে তার ছেলে শওকত কল্লোল জানিয়েছেন।
শওকত আলীর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে।
ছাত্র জীবনে কমিউনিস্ট আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন শওকত আলী। সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও কিছুদিন পরে শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি।
বামপন্থিদের ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায় লেখালেখি করেন শওকত আলী। এছাড়া দৈনিক মিল্লাত, মাসিক সমকাল, ইত্তেফাকে তার অনেক গল্প, কবিতা ও শিশুতোষ লেখা প্রকাশিত হয়।
কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে একুশে পদক পান শওকত আলী। পরে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার পান।
‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘কুলায় কালস্রোত’ এবং ‘পূর্বরাত্রি পূর্বদিন’ উপন্যাসত্রয়ীর জন্য তিনি ‘ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার’ পান।
তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে, ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘অপেক্ষা’, ‘গন্তব্যে অতঃপর’,
‘উত্তরের খেপ’, ‘অবশেষে প্রপাত’, ‘জননী ও জাতিকা’, ‘জোড় বিজোড়’।
‘উন্মুল বাসনা’, ‘লেলিহান সাধ’, ‘শুন হে লখিন্দর’, ‘বাবা আপনে যান’সহ বেশ কয়েকটি গল্পগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন তিনি।