ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ড সীমানার গেজেট হওয়ায় মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড নিয়েই ভোট করতে হবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক।
Published : 06 Dec 2017, 08:49 AM
তিনি বলেছেন, “যুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ড-এর সীমানা নির্ধারণ না হলে নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হত। এখন নতুন ওয়ার্ডগুলো নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। উপ নির্বাচনের পর মেয়র ও নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা এই সিটি করপোরেশনের মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। ”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে তার পদটি ১ ডিসেম্বর থেকে শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়র পদে উপ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।
এরই মধ্যে উত্তর সিটিতে ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে, তাতে ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডও রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট আয়োজনের জন্য ইসিকে অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
দুই সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তারা কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য এসব ওয়ার্ড গঠনের সুপারিশ করলে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২৬ জুলাই নতুন ওয়ার্ড গঠনের গেজেট জারি করে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পুরনো ৩৬টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪টি। আর দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫টি।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ভোটের পর মেয়র হিসাবে মে মাসে শপথ নেন আনিসুল হক। আর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকে জনপ্রতিধিদের।
ইসি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, উপ নির্বাচনে যিনি মেয়র হবেন, তিনি ওই মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
সেক্ষেত্রে নতুন যোগ হওয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মেয়াদও মেয়রের মতো সিটি করপোরেশনের বাকি সময়ের জন্য হবে বলে জানিয়েছেন গত ফেব্রুয়ারিতে বিদায় নেওয়া নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আপাতত তারা রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। ঢাকা উত্তরের উপ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলেই তারা বসবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি- এই ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করতে হবে ঢাকা উত্তরে। সেক্ষেত্রে এ বছরের ভোটার তালিকা দিয়েই ভোট হতে পারে। কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অন্তত ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করতে পারে।